মালয়েশিয়া প্রবাসীদের দাবি আদায়ে ভার্চ্যুয়াল টকশো, সামালোচনা
- মালয়েশিয়া সংবাদদাতা
- ১৪ জুলাই ২০২১, ১৬:১৬
মালয়েশিয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানকল্পে অনলাইন ভিত্তিক একটি পেইজে জুমের মাধ্যমে টকশো অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মালয়েশিয়ার আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক (একাংশ) মো: রেজাউল করিম রেজাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
এসব আলোচনায়-সমালোচনা বলা হচ্ছে, রেজাউল করিম রেজা প্রবাসীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। ১২ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার
ফেসবুক লাইভে এসে রেজাউল করিম রেজা কেন তিনি এ মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আলোচক রেজাউল করিম রেজার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে টকশো চলাকালীন ও পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় প্রবাসীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ফেসবুক, টিকটকসহ বিভিন্ন সমাজিক মাধ্যমে রেজাউল করিম রেজা ও ড. ফয়জুল হকের কথাপোকথন এখন প্রবাসীদের মুখে মুখে।
ড. ফয়জুল হক উপস্থিতভাবেই তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদে বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। দেশ বিনির্মাণে তাদের ভূমিকার কথা স্বীকার করতে হবে। টকশো পরবর্তী সময়ে মালয়েশিয়ার সমগ্র প্রবাসীদের মুখে মুখে এখন প্রবাসীদের সমস্যার খবর ব্যাপকভাবে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সাইফুর রহমান সাগরের সঞ্চালনায় টকশোতে রেজা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মাহবুব আলম শাহ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক
ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো ড. ফয়জুল হক, সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা জামাল উদ্দিন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবাসীদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন ড. ফয়জুল হকসহ অন্যরা। শুরুতেই ড. ফয়জুল হক করোনাকালীন বাংলাদেশীদের বিভিন্ন দুঃখ ও দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রবাসীরা আজ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। চাকরি হারিয়ে, পাসপোর্ট ভিসা সমস্যা নিয়ে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের পরিবারের কথা চিন্তা করে
প্রবাসীরা চরম কষ্টের মধ্যেও না খেয়ে বাড়ির জন্য টাকা পাঠাচ্ছ। করোনার মধ্যেও নিয়মিত তারা গ্রেফতার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় তাদের কাছে বৈধ ভিসা পর্যন্ত নেই। যে কারণে প্রতিদিন এক অজানা আতঙ্কে দিন যাচ্ছে প্রবাসীদের।
ড. ফয়জুল আরো বলেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তাদের টাকায় বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে, অসহায় পরিবারগুলো চলছে। অথচ প্রবাসীরা পদে পদে উপেক্ষিত। তারা পদে পদে বিড়ম্বনার স্বীকার। অ্যাম্বাসির পক্ষ থেকে করোনা মহামারীর শুরুতে সামান্য কিছু সাহায্য করলেও বর্তমানে কোনো প্রকার সহযোগিতা নেই। অনেক শ্রমিক না খেয়ে দিনযাপন করছেন। যা সত্যিই উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সরকারকে সকল প্রবাসীদের পাশে থেকে কাজ করার আহ্বান জানান মাহবুব আলম শাহ।